ছবি- প্রথম আলো |
অথচ ২২ জানুয়ারি অধিনায়কের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের দিনে মাশরাফির মনটা বেশ ভার দেখা গেল। স্বভাবসুলভ রসিকতায় খুব একটা মেতে উঠলেন না। কী হয়েছে তাঁর? বিষয়টি কাউকে খুলেও বলতে চাইলেন না। এখন বোঝা যাচ্ছে, মাশরাফির মন কেন খারাপ ছিল সেদিন। পাঁচ মাসের ছেলেটা অনেক দিন ধরেই ভীষণ অসুস্থ। টাইফয়েডের সঙ্গে মূত্রাশয়ের সংক্রমণে এ মুহূর্তে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি মাশরাফির ছেলে সাহেল মুর্তজা।
মাশরাফির মা হামিদা মুর্তজা আজ জানালেন, ‘২১টা ইনজেকশন দিতে হবে। কেবল ছয়টা দেওয়া হয়েছে, এখনো ১৫টি বাকি। মাশরাফির অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তবে বেশি অসুস্থ অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পর থেকে... বিসিবিকে জানানোর পর অ্যাপোলোতে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বোর্ড বসিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ইনজেকশনের সঙ্গে অন্যান্য চিকিৎসাও চলছে।’
সন্তানের এ সংবাদ শুনে নাকি দেশেও ফিরে আসতে চেয়েছিলেন মাশরাফি। কিন্তু যার কাঁধে বাংলাদেশ দলের বিশাল দায়িত্ব, তাঁকে ভেঙে পড়লে চলবে কী করে? ভেঙে পড়েননি। সবার আগে যে দেশ! সেই দেশের প্রেরণায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন প্রথম ম্যাচের আগুন-পরীক্ষায়। আর তাতে কী দারুণভাবেই না জ্বলে উঠলেন! মাঠে মাশরাফি জ্বলে উঠলে সেদিন প্রতিপক্ষের কী হয়, নিশ্চয় জানা।
ব্যথা-যন্ত্রণা তো তাঁর নিত্যসঙ্গী। শুধু মনে নয়, ব্যথা ছিল শরীরেও। চোটের সঙ্গে লড়তে লড়তে ক্লান্ত হননি, ভেঙে পড়েননি; সংশপ্তকের মতো উঠে দাঁড়িয়েছেন বারবার। নতুন উদ্যমে ফিরেছেন মাঠে। দেখিয়েছেন সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স। হাঁটুর চোটের কারণে নি-ক্যাপ পরে মাঠে নামতে হয়। তবু নিজেকে উজাড় করে দিতে এতটুকু কার্পণ্য করেন না তিনি। আর এখন খেলছেন সন্তানের অসুস্থতার সংবাদ মাথায় নিয়ে।
সত্যিই মাশরাফি অপরাজেয়!
By- প্রথম আলো অনলাইন
EmoticonEmoticon