ছবিটি প্রতীকী |
কোনোওভাবেই পরকীয়াকে সমর্থন করার যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাই না। ধর্মীয় বিধি বিধানের উর্ধ্বে ওঠে, যদি উদার মানবিকতা কিংবা মানসিকতার দাবি তুলেন, তবুও পরকীয়া সমর্থন যোগ্য নয়। পরকীয়া ব্যক্তিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় জীবনাচরণে ক্যানসারের চেয়েও ভয়াবহ এক ব্যাধি। এটা মানসিক বিকৃতির সর্বশেষ পর্যায়।
দাম্পত্য জীবনে দ্বন্দ্ব, অবিশ্বাস, বোঝাপড়ার ঘাটতি থাকতেই পারে, তাই বলে পরকীয়া? ডিভোর্সের মতো বৈধ সিস্টেম যেখানে চালু আছে, সেখানে সঙ্গী কিংবা সঙ্গিনীকে ভালো না লাগলে, ডিভোর্স দিয়ে যে কেউ খুঁজে নিতে পারে ভিন্ন ঠিকানা। তবে, নতুন কাউকে পেলেই যে সেই ব্যক্তিটি সুখী হবে তার নিশ্চয়তা কোথায়?
স্বামীর ক্ষেত্রে স্ত্রীর সাথে, স্ত্রীর ক্ষেত্রে স্বামীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে পরকীয়া চালিয়ে যাওয়ার কোনো উদার যৌক্তিকতা নেই। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের সন্তানেরা। অনেকক্ষেত্রে হয় তারা খুনের শিকার। জন্মই যেন হয়ে দাঁড়ায় তাদের আজন্ম পাপ। অথচ, বিকৃত মানসিকতার বাবা কিংবা মায়ের কারণে তারা শাস্তি পাবে কেন? লোক লজ্জার ভয়ে তারা ডিভোর্স দেবার সাহস পান না, সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে তারা একসাথে বসবাস করেন অভিনয়ের মাধ্যমে। অথচ, গোপনে পরকীয়ায় জড়াতে রুচিতে, বিবেকে বাধে না তাদের। এদেরকে বিকৃত যৌন রোগী ছাড়া আর কী বলা যায়?
আচ্ছা, আমরা আমাদের পরিবার নিয়ে কী ভাবি? কোনোওভাবে কি আমি আমার পরিবারের কোনো সদস্যের পরকীয়াকে সমর্থন করার মতো উদারতা দেখাতে পারবো? আমার কেমন লাগবে- যদি আমার অর্ধাঙ্গিনী, কিংবা বোন, কিংবা মা, কিংবা মেয়ে, কিংবা ফুফু,খালা,মামি,চাচি পরকীয়ায় জড়ায়? মেনে নিতে পারবো কি? পরকীয়া কোনো সভ্য সমাজের চর্চার বিষয় হতে পারে না। এটা ঘৃণ্য, বর্জনীয়। গুরুতর অপরাধও। আগাগোড়া নৈতিকতাশূন্য মানসিক বিকৃতি। নিজেকে উদারমনা, মুক্তমনা, যুক্তিবাদী, নারীবাদী, পুরুষবাদী, যৌনবাদী দাবি করে যতই পরকীয়ার পক্ষে সাফাই গান না কেন, আপনি কি পারবেন- আপনার জীবনসঙ্গীর পরকীয়া মেনে নিতে? অবশ্যই পারবেন না।
লেখা: ওয়াদুদ খান
প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ
সদরপুর সরকারি কলেজ, ফরিদপুর
প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ
সদরপুর সরকারি কলেজ, ফরিদপুর
EmoticonEmoticon