দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি চাকরি লাভের ক্ষেত্রে ‘কোটা’ পদ্ধতির ব্যাপকতায় প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক মেধাবী ঝরে পড়ছে। মেধাবীরা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেও কোটার কারণে সরকারি চাকরি ও ভর্তিতে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীদের কাছে হেরে যাচ্ছে। বলা যায়, কোটায় মেধা খেয়ে ফেলছে। এ পরিস্থিতি যদি আর কয়েক বছর চলতে থাকে, তবে প্রশাসনসহ সর্বস্তরে মেধাবী মানুষের সংখ্যা কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনি, নারী, জেলা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (উপজাতি), প্রতিবন্ধী, আনসার ও ভিডিপি, পোষ্য, খেলোয়াড়, এলাকা ও বোনসহ ২৫৭ ধরনের কোটা রয়েছে। এসব কোটা বিসিএস, সরকারি চাকরি এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি ও ভর্তির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। এসব কোটার মধ্যে বিসিএসে মেধা তালিকা থেকে ৪৫ শতাংশ নিয়োগ এবং বাকি ৫৫ শতাংশ কোটায় সুযোগ দেয়া হয়। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০, মহিলা ১০, জেলা ১০ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ রয়েছে। কোটা পুরোপুরি পূরণ না হলে ১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয় প্রতিবন্ধীদের জন্য। এছাড়া নন-ক্যাডার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মেধাতালিকা থেকে ৩০ শতাংশ এবং বাকি ৭০ শতাংশ পূরণ করা হয় কোটা থেকে। শুধু সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেই নয়, প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পর্যন্ত কোটা পদ্ধতি রয়েছে। কোটার এ চিত্র থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না, যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা কোটা পদ্ধতি আমাদের মেধার বিকাশ, মেধাবী জনগোষ্ঠী সৃষ্টি এবং দক্ষ প্রশাসন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বড় ধরনের অন্তরায় হয়ে রয়েছে। এ পরিস্থিতি কাম্য না হলেও, এর সংস্কার ও সংশোধনে কোনো সরকারই উদ্যোগ নেয়নি। মেধার এই অবমূল্যায়ন বিশ্বের খুব কম দেশেই দেখা যায়।
ইতিহাসের আলোকে জানা যায়, উপমহাদেশে কোটা পদ্ধতির প্রচলন শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে। সে সময় ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে ব্রিটিশদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় ভারতীয়দের জন্য কোটা পদ্ধতি চালু করা হয়। পরবর্তীতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের জন্য কিছু কোটা সংরক্ষণ করা হয়। পাকিস্তান আমলে পিছিয়ে পড়া পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) দাবীর মুখে কেন্দ্রীয় সুপিরিয়র সার্ভিসগুলোর কয়েকটি ক্ষেত্রে প্রদেশভিত্তিক কিছু কোটা চালু করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সংস্থাপন সচিবের স্বাক্ষরকৃত এক নির্বাহী আদেশে কোটা পদ্ধতি বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। অথচ বাংলাদেশের সংবিধানের ২৯ (১) ধারায় স্পষ্ট করেই বলা আছে, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদলাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে।’ ২ ধারায় বলা আছে, ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা পদলাভের অযোগ্য হইবেন না কিংবা সেই ক্ষেত্রে তাহার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাইবে না।’ দেখা যাচ্ছে, কোটা পদ্ধতির কারণে নাগরিকের সাংবিধানিক এই অধিকার যথাযথভাবে সংরক্ষিত ও প্রতিপালিত হচ্ছে না। কোটার নামে বৈষম্য চলমান রাখা হয়েছে। বাংলাদেশকে এখন কথায় কথায় অর্থনীতির ‘ইমার্জিং টাইগার’, ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ বলা হচ্ছে। কথার গতি অনুযায়ী বাংলাদেশের অর্থনীতি কতটা গতিপ্রাপ্ত হয়েছে, এ কথার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে না গিয়ে বলা যায়, যেটুকু গতিপ্রাপ্ত হয়েছে, তা বজায় ও এগিয়ে নিতে ক্রমাগত মেধা সংযোজনের বিকল্প নেই। এটাও ব্যাখ্যা করে বলার অবকাশ নেই, প্রশাসনসহ সর্বস্তরে কম মেধাবী মানুষ দিয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। উদীয়মান ও উন্নয়নকামী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে প্রতি মুহূর্তে যেখানে যোগ্য ও মেধাবীদের অধিক হারে যুক্ত হওয়া অত্যন্ত জরুরী, সেখানে কোটা পদ্ধতি একটি বিশাল বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বিষয়টি সরকার যে খুব একটা উপলব্ধি করছে, তা বোধ হচ্ছে না। উপলব্ধি করলে দেশের উন্নয়নকে আরও গতিশীল করতে মেধার অন্তরায় হয়ে থাকা এই পদ্ধতির সংস্কার, যুগোপযোগী এবং সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিত। মেধাবী ও যোগ্যতা সম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও যে জাতির মেধাবীদের হতাশ এবং ঝরে পড়তে হয়, সে জাতির মতো দুর্ভাগা জাতি আর হতে পারে না। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশ গত ৩০ বছরে যে অগ্রগতি সাধন করেছে, তা সম্ভব হয়েছে মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে সুযোগ পাওয়া মানুষের মাধ্যমে। আমরা এ কথা বলছি না, কোটা দিয়ে যারা সহজে সুযোগ পেয়েছে বা পাচ্ছে, তারা অযোগ্য ও কম মেধাসম্পন্ন। তবে তারা যদি সত্যিকার অর্থে মেধাবী হয়ে থাকে, তবে তাদের তো কোনো ধরনের কোটা পদ্ধতির আশ্রয় নেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। যথাযথ প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই মেধার পরিচয় দেয়া বাঞ্ছনীয়। তা না করে উত্তরাধিকার সূত্রে বা অন্য কোটার ভিত্তিতে সহজে সুযোগ পাওয়া নিশ্চিতভাবেই তাদের মেধার প্রতি অবিচারের শামিল এবং অসম্মানও বটে।
দেশে বিগত কয়েক বছরে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর পাসের হার ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছর পাসের রেকর্ড ভাঙ্গার এক ধরনের প্রতিযোগিতা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। তবে শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, পাসের হারের বৃদ্ধির সাথে মেধাবী ও মানসম্পন্ন শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে না। এর প্রমাণ পাওয়া যায়, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বুয়েট ও মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ পাওয়া অসংখ্য শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক হারে ঝরে পড়া থেকে। আবার এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই কোটা পদ্ধতির কারণে সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে জিপিএ না পাওয়া কিংবা কম মেধাবী সম্পন্ন অনেক শিক্ষার্থী। ফলে পরীক্ষায় ভাল করেও যেসব মেধাবী শিক্ষার্থীর সুযোগ পাওয়ার কথা, তারা বঞ্চিত হচ্ছে। উন্নত বিশ্বসহ অনেক দেশেই কোটা পদ্ধতি রয়েছে। তবে তা বাংলাদেশের মতো এতো প্রবল আকারে নয়। যুক্তরাষ্ট্রে কোটাধারীদের আগেই একটি নম্বর দিয়ে দেয়া হয়। তারপর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তা অর্জন করেত হয়। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে মেধার বিকাশকে অবারিত ও দক্ষ প্রশাসন গড়ে তুলতে কোটা পদ্ধতি সংশোধন করা প্রয়োজন। ভর্তি পরীক্ষা থেকে শুরু করে সরকারি চাকরি পাওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক যে কোটা সুবিধা রয়েছে, তা কমানো দরকার। একবার যে কোটার সুবিধা পাবে, সে আর কখনো এ সুবিধা পাবে না। অর্থাৎ বাবা কোটা সুবিধা পেয়ে থাকলে, সন্তান এ সুবিধা পাবে না। কেউ কোটা দিয়ে স্কুল বা কলেজে ভর্তি হলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সে এ সুবিধা পাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটায় ভর্তি হলে, চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে এ সুবিধা ভোগ করতে পারবে না। যারা উচ্চ আয়ের মানুষ তাদের কোটার সুবিধা বাতিল করা উচিত। দেশের দ্রুত সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে কোটা পদ্ধতির ক্ষেত্রে এ ধরনের সংস্কার অপরিহার্য।
ইতিহাসের আলোকে জানা যায়, উপমহাদেশে কোটা পদ্ধতির প্রচলন শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে। সে সময় ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে ব্রিটিশদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় ভারতীয়দের জন্য কোটা পদ্ধতি চালু করা হয়। পরবর্তীতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের জন্য কিছু কোটা সংরক্ষণ করা হয়। পাকিস্তান আমলে পিছিয়ে পড়া পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) দাবীর মুখে কেন্দ্রীয় সুপিরিয়র সার্ভিসগুলোর কয়েকটি ক্ষেত্রে প্রদেশভিত্তিক কিছু কোটা চালু করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সংস্থাপন সচিবের স্বাক্ষরকৃত এক নির্বাহী আদেশে কোটা পদ্ধতি বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। অথচ বাংলাদেশের সংবিধানের ২৯ (১) ধারায় স্পষ্ট করেই বলা আছে, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদলাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে।’ ২ ধারায় বলা আছে, ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা পদলাভের অযোগ্য হইবেন না কিংবা সেই ক্ষেত্রে তাহার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাইবে না।’ দেখা যাচ্ছে, কোটা পদ্ধতির কারণে নাগরিকের সাংবিধানিক এই অধিকার যথাযথভাবে সংরক্ষিত ও প্রতিপালিত হচ্ছে না। কোটার নামে বৈষম্য চলমান রাখা হয়েছে। বাংলাদেশকে এখন কথায় কথায় অর্থনীতির ‘ইমার্জিং টাইগার’, ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ বলা হচ্ছে। কথার গতি অনুযায়ী বাংলাদেশের অর্থনীতি কতটা গতিপ্রাপ্ত হয়েছে, এ কথার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে না গিয়ে বলা যায়, যেটুকু গতিপ্রাপ্ত হয়েছে, তা বজায় ও এগিয়ে নিতে ক্রমাগত মেধা সংযোজনের বিকল্প নেই। এটাও ব্যাখ্যা করে বলার অবকাশ নেই, প্রশাসনসহ সর্বস্তরে কম মেধাবী মানুষ দিয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। উদীয়মান ও উন্নয়নকামী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে প্রতি মুহূর্তে যেখানে যোগ্য ও মেধাবীদের অধিক হারে যুক্ত হওয়া অত্যন্ত জরুরী, সেখানে কোটা পদ্ধতি একটি বিশাল বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বিষয়টি সরকার যে খুব একটা উপলব্ধি করছে, তা বোধ হচ্ছে না। উপলব্ধি করলে দেশের উন্নয়নকে আরও গতিশীল করতে মেধার অন্তরায় হয়ে থাকা এই পদ্ধতির সংস্কার, যুগোপযোগী এবং সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিত। মেধাবী ও যোগ্যতা সম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও যে জাতির মেধাবীদের হতাশ এবং ঝরে পড়তে হয়, সে জাতির মতো দুর্ভাগা জাতি আর হতে পারে না। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশ গত ৩০ বছরে যে অগ্রগতি সাধন করেছে, তা সম্ভব হয়েছে মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে সুযোগ পাওয়া মানুষের মাধ্যমে। আমরা এ কথা বলছি না, কোটা দিয়ে যারা সহজে সুযোগ পেয়েছে বা পাচ্ছে, তারা অযোগ্য ও কম মেধাসম্পন্ন। তবে তারা যদি সত্যিকার অর্থে মেধাবী হয়ে থাকে, তবে তাদের তো কোনো ধরনের কোটা পদ্ধতির আশ্রয় নেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। যথাযথ প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই মেধার পরিচয় দেয়া বাঞ্ছনীয়। তা না করে উত্তরাধিকার সূত্রে বা অন্য কোটার ভিত্তিতে সহজে সুযোগ পাওয়া নিশ্চিতভাবেই তাদের মেধার প্রতি অবিচারের শামিল এবং অসম্মানও বটে।
দেশে বিগত কয়েক বছরে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর পাসের হার ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছর পাসের রেকর্ড ভাঙ্গার এক ধরনের প্রতিযোগিতা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। তবে শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, পাসের হারের বৃদ্ধির সাথে মেধাবী ও মানসম্পন্ন শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে না। এর প্রমাণ পাওয়া যায়, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বুয়েট ও মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ পাওয়া অসংখ্য শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক হারে ঝরে পড়া থেকে। আবার এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই কোটা পদ্ধতির কারণে সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে জিপিএ না পাওয়া কিংবা কম মেধাবী সম্পন্ন অনেক শিক্ষার্থী। ফলে পরীক্ষায় ভাল করেও যেসব মেধাবী শিক্ষার্থীর সুযোগ পাওয়ার কথা, তারা বঞ্চিত হচ্ছে। উন্নত বিশ্বসহ অনেক দেশেই কোটা পদ্ধতি রয়েছে। তবে তা বাংলাদেশের মতো এতো প্রবল আকারে নয়। যুক্তরাষ্ট্রে কোটাধারীদের আগেই একটি নম্বর দিয়ে দেয়া হয়। তারপর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তা অর্জন করেত হয়। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে মেধার বিকাশকে অবারিত ও দক্ষ প্রশাসন গড়ে তুলতে কোটা পদ্ধতি সংশোধন করা প্রয়োজন। ভর্তি পরীক্ষা থেকে শুরু করে সরকারি চাকরি পাওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক যে কোটা সুবিধা রয়েছে, তা কমানো দরকার। একবার যে কোটার সুবিধা পাবে, সে আর কখনো এ সুবিধা পাবে না। অর্থাৎ বাবা কোটা সুবিধা পেয়ে থাকলে, সন্তান এ সুবিধা পাবে না। কেউ কোটা দিয়ে স্কুল বা কলেজে ভর্তি হলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সে এ সুবিধা পাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটায় ভর্তি হলে, চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে এ সুবিধা ভোগ করতে পারবে না। যারা উচ্চ আয়ের মানুষ তাদের কোটার সুবিধা বাতিল করা উচিত। দেশের দ্রুত সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে কোটা পদ্ধতির ক্ষেত্রে এ ধরনের সংস্কার অপরিহার্য।
কৃতজ্ঞতা : দৈনিক ইনকিলাব
।।। বিজ্ঞাপন ।।।
"ফ্যান্টাসি-১" এর পর শেষ হতে চলেছে "ফ্যান্টাসি-২" এর প্রথম সংস্করণ। আপনার কপিটি সংগ্রহ করে রাখুন ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই। কুরিয়ারে পেতে ডায়াল করুন:- ০১৭৮৫-৫৬২০৮০ এই নাম্বারে।
এডস বাই গুগল ডট কম |
EmoticonEmoticon